লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি – বিগত দিনে বিভিন্ন নির্বাচনে যারা মনোনয়ন বাণিজ্য এবং দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে তারা কখনই দলের নেতৃত্বে আসতে পারবে না। শীঘ্রই লক্ষ্মীপুর জেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করে তৃণমূলে আওয়ামীলীগকে আরও শক্তিশালী করা হবে। দলের ত্যাগি নেতা কর্মীদের পদপদবীতে জায়গা করে দিতে হবে এতে কোন স্বজনপ্রীতি করলে তা ভেঙ্গে দেয়া হবে। আর ‘ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তি। অথচ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোসহ প্রায় নানানদেশে ভাস্কর্য রয়েছে। আমরা মনে করি বিএনপি -জামায়াত জোট এর সঙ্গে জড়িত।
তারা বিভিন্ন সময় ছাত্র আন্দোলনসহ সামাজিক আন্দোলন ও ধর্মীয় আন্দোলনের কাঁধে ভর করে সরকার পতনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার স্হানীয় একটি কমউিনিটি সেন্টারে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি ফরিদুন নাহার লাইলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি, সংসদ সসদস্য আনোয়ার হোসেন খান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব এম এ তাহের, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম, এসেনশিয়াল ড্রাগের নির্বাহী পরিচালক বিশিষ্ট প্রফেসর জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মিলন, জেলা আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী মো. মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভুঁইয়া, রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক ইসমাইল খোকন, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আকম রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবি মিজানুর রহমান মুন্সি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যন ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, , আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আবুল কাসেম, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ওমর হোসেন ভুলু, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হুমায়ূন কবির পাটোয়ারী, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ, দক্ষিন হামছাদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মীর শাহআলম, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল হাসান পলাশ, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছৈয়দ আহম্মদ পাটোয়ারী,জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু, সাধারণ সম্পাদক আব্দল্যাহ্ আল নোমান,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক নজরুল ইসলাম ভুলু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান সহ আওয়ামীলীগের জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী । বহু জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জেলার বিভিন্ন ইউনিটের সন্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হয়। এতে আগামী ২৭ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, ২৮ জানুয়ারী রামগতি পৌরসভা, ২৯ জানুয়ারী রায়পুর পৌরসভা, ৩০ জানুয়ারি রামগঞ্জ পৌরসভা, ১ ফেব্রুয়ারী রামগতি উপজেলা, ২ ফেব্রুয়ারী রায়পুর উপজেলা, ৩ ফেব্রুয়ারী কমলনগর উপজেলা, ৪ ফেব্রুয়ারী চন্দ্রগঞ্জ থানা, ৫ ফেব্রুয়ারী সদর থানা কমিটির সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।