নিজস্ব প্রতিবেদক – আমি নিজে শিক্ষকের সন্তান, শিক্ষদের কোন কাজের জন্য দাবি জানানোর প্রয়োজন নেই। শিক্ষকরা কিছু দাবি করার আগেই আমি চাহিদা পূরণ করে দিবো। শিক্ষকদের যে কোন কাজে ডিও লেটার দিয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমি নিজে গিয়েই সমাধান করো দিবো। শিক্ষকদের প্রতি আমার দুর্বলতা সবচেয়ে বেশি। আমি শিক্ষকের সন্তান হওয়ায় শিক্ষকদের মর্যাদা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি। শিক্ষকদের বেলায় আমার কোন প্রটোকল নেই। এছাড়াও শিক্ষকদের সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক বলে মন্তব্য করেছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রায়পুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, আবার বাবা শিক্ষক ছিলেন সে হিসেবে এই সংগঠনটি আমার বাবার সংগঠন। এখন যেহেতু উনি জীবিত নেই সেই হিসেবে এখন এটি আমার সংগঠন। এই সংগঠনের উন্নয়নে আমি সবার পাশে থেকে জোড়ালো ভূমিকা পালন করবো। আমি এমপি হওয়ার পরে রায়পুরের উন্নয়নের জন্য স্বশরীরে ডিও লেটার নিয়ে মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও শিক্ষকদের উন্নয়নে আমি সব সময় কাজ করবো। আপনাদের কার কি সমস্যা, কি প্রয়োজন শুধু জানাবেন বাকিটা আমিই করবো।
এসময় সংসদ সদস্য এডভোকেট নয়ন রায়পুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়াল নিজস্ব অর্থায়নে করে দেওয়ার ঘোষনা দেন। এছাড়াও সম্প্রতি এমপি হওয়ার পরে রায়পুরের উন্নয়নে যেসব কাজ করেছেন তা নিয়ে আলোচনা করেন।
রায়পুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল মোতালেব এর সভাপতিত্বে ও শিক্ষক বলারাম চন্দ্র দাস এর সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রায়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ, রায়পুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা শামছুদ্দিন বাবুল,রায়পুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক তানবীর হায়দার চৌধুরী রিংকু , সহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
সভায় দুই শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ের জন্য জমি পরিদর্শন করেন সাংসদ এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।