নিজস্ব প্রতিবেদক – লক্ষ্মীপুরের কমলনগর-রামগতির ৩৭ কিলোমিটার এলাকাজুরে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন পরিদর্শনকালে সংক্ষিপ্ত পথসভায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:)জাহিদ ফারুক শামীম এমপি’র সামনে যুগান্তকারী এক বক্তব্য দিয়ে লাখো মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে ভাইরাল হয়েছেন কমলনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী।
মাত্র দু’মিনিটের ঐ বক্তব্যের মাধ্যমে দীর্ঘ চার যুগ ধরে মেঘনার অব্যাহত ভাঙনখেলা,গেল কয়েক বছরে এ ভূখন্ডের প্রায় ত্রিশ কি:মি: এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া, অসংখ্য ঘর-বাড়ি সরকারি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলিন হয়ে যাওয়া, ভাঙ্গনকবলিতদের আত্বচিৎকার ও উদ্ভাস্থ মানুষের শোকগাথা নানা অশ্রুকথা।
ভাঙনকবলিত মেঘনাপাড়ের লাখো মানুষের পক্ষে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান বাপ্পী বলেন,
আগামী একনেক সভায় কমলনগর-রামগতি নদীবাধ প্রকল্পটি পাশ না হলে ২ ভাইসচেয়ারম্যান,৩ জেলা পরিষদ সদস্য
৯ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ৮১ ইউপি সদস্যকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গণভবনের সামনে উপস্থিত হয়ে সকলের উপর অর্পিত জনপ্রতিনিধিত্বের দায়ীত্ব প্রত্যাহার করে নিবেন।
তার এমন আবেগি বক্তৃতা এখন গোটা নেট দুনিয়ায় ভাসমান, এতে মেঘনা পাড়ের লাখো মানুষ তার প্রশংসায় পঞ্চমূখ হয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৮) সেপ্টেম্বর দুপুরে কমলনগরের ফলকন বাঘারহাট এলাকায় পানিসম্পদ মন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম(এমপি)’র নদীভাঙা পরিদর্শন পরবর্তি উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্চে প্রধান অতিথির আসনে বসে থাকা মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:)জাহিদ ফারুক শামীম এমপি’র দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি আরো বলেন,
রামগতি-কমলনগর আসনের সংসদ সদস্য মেজর(অব:)আব্দুল মান্নান এমপি’র নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি “টেকসই নদীবাধ” জয়লাভ পরবর্তি গতবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন পরবর্তিকালে হাজারো জনতার সামনে দেয়া প্রতিশ্রুতির অংশ বিশেষ “আর এক টুকরো মাটিও ভাঙতে দেয়া হবেনা। এমন ওয়াদা দেয়ার বছর পেরুলেও স্থায়ী নদীবাধ প্রকল্পটি বাস্তবতার মুখ দেখেনি।
খরশ্রোতা মেঘনার তান্ডব ঠেকাতে এবারের শুকনো মৌসমের মধ্যেই যদি স্থায়ীভাবে বাধের উদ্যোগ না নেয়া হয় তাহলে পুরো কমলনগর উপজেলা মেঘনায় খিলে খাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
মন্ত্রীকে লক্ষ করে দরদভরা কন্ঠে বাপ্পী বলেন,সামনে নির্বাচন আমরা জনগনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তাছারা দেশজুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের জয়জয়কার, আমরা কমলনগরবাসী এ উনয়ন থেকে কেন বঞ্চিত হবো। মাননীয় মন্ত্রী এখানকার মানুষগুলো রাতের বেলা ঘুমাতে গেলেও বলে উঠে আর কোন দাবী নাই নদীভাঙা রোধ চাই। ভিটে-মাটি হারা অসহায় মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে হলেও আপনি আগামী একনেক সভায় স্থায়ী বাধ প্রসঙ্গে তৈরী হওয়া প্রকল্পটি পাশ করিয়ে দিবেন এ প্রত্যাশাই করছে এখানকার কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে উপজেলা যুবলীগের আইকন খ্যাত রাজনীতিবিদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পীর দেয়া আবেগঘন এ বক্তব্যটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নানা শ্রেনীপেশার লোকজনের মধ্যে চুলছেড়া বিশ্লেষন শুরু হয়েছে।
বাপ্পীর দেয়া যুগান্তকারী এ বক্তব্যটি প্রধানমন্ত্রী সহ উচ্চ পর্যায়ের কর্ণকুহরে পৌছে দ্রুততম সময়ে স্থায়ী নদীবাধ হবে এমনটাই বলাবলি হচ্ছে পাড়া মহল্লার মানুষের মুখে মুখে।তবে আর যাই হোক একজন সংবেদনশীল শাসকের ভুমীকায় অবতীর্ণ হয়ে মাত্র দু’মিনিটের দেয়া এ বক্তব্যটির মধ্য দিয়ে বাপ্পী’র প্রতি মানুষ দীর্ঘকাল শ্রদ্ধায় অবনত হবেন এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।