মামুন ভূঁইয়া,রায়পুর – দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশের মাননীয় আইজিপি, জনাব ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম(বার) মহোদয়ের নির্দেশে, লক্ষ্মীপুর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, পিপিএম-সেবা মহোদয়ের নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আবদুল জলিল মহোদয়ের নেতৃত্বে কমিউনিটি পুলিশিং, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে রায়পুর থানা এলাকায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। রায়পুর থনার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, শীতকালে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ আসবে। অনেকে একে দ্বিতীয় ঢেউ বলছে। শীতের শুষ্ক মৌসুমে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। বায়ুদূষণের কারণে এমনিতেই জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া হতে পারে। শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন বায়ুদূষণের কারণে অসুস্থও হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে করোনার সঙ্গে এই ইনফেকশন (সংক্রমণ) আলাদা করতেও সমস্যা হবে। কিন্তু এর ছিটেফোটা রায়পুরের অধিকাংশ মানুষের মাঝে নেই। এতে করে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণ মানুষ মাস্ক ছাড়াই দিব্যি চলাচল করছেন। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘরের বাইরে গেলেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাদের মাঝে একধরনের উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়াও বিয়ে ও বনভোজনসহ নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে জনসমাগম বেশি হওয়ায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ মার্চ থেকে টানা ১০ দিন প্রতিদিন রোগি শনাক্ত হয়েছে হাজারের ওপরে। চিকিৎসকদের মতে, বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ সংক্রমণ বর্তমানে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। মাস্ক পরাসহ সামাজিক দূরত্ব এ মুহুর্তে মেনে চলা জরুরি। রায়পুর সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তন্ময় কুমার পাল বলেন, সরকার করোনা প্রতিরোধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিকভাবে মেনে চললে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা আমাদের জন্য সহজ হবে। এজন্য সরকারের সাথে জনগণকেও করোনা প্রতিরোধ ভূমিকা রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।